Download

বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৪

মাওলানা ভাসানীর মোনাজাত !!!

পাকিস্তান আমলে এক মসজিদের প্রাঙ্গনে একবার তাঁর বক্তৃতা দেয়ার কথা।বহুদূর থেকে মানুষ এসেছে জননেতা ভাসানীর কথা শুনতে।চারদিক লোকে লোকারণ্য।এমনসময় পাকিস্তানী সেনারা ঘিরে ফেলল মসজিদ।পাকিস্তান সরকারের নিষেধ,কোনো বক্তব্য দেয়া যাবেনা

মাওলানা ভাসানী মাইকে বললেন, "ভাইয়েরা, আমি আজ বক্তৃতা দিতে পারবনা।সরকারের নিষেধ আছে।বক্তৃতা দেয়া নিসেধ , দোয়া করায় তো নিষেধ নাই।আসেন সবাই আল্লাহর দরবারে হাত তুলে দোয়া করি"-বলে মোনাজাত ধরলেন।সবাইকে মোনাজাত ধরতে দেখে খানসেনারাও মোনাজাত ধরলতো তিনি আল্লাহর দরবারে হাত তুলে তাঁর সেদিনের বক্তৃতায় যা যা বলার কথা ছিল কিছুই বাদ দিলেন না।পশ্চিম পাকিস্তানী সরকারের বিরুদ্ধে যা বলার ছিল সবই বললেন।পাকিস্তানী সেনারাও সেই পশ্চিম পাকিস্তানী শাষকদের বিষোদ্গারপূর্ণ দোয়ায় অংশ নিল!
জয় বাংলা !

মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৪

আযান ফুল: আযান শুনলেই আযানের আহবানে সাড়া দিয়ে ফোটে....সুবহানআল্লাহ!

। আযান শুনলেই আযানের আহবানে সাড়া দিয়ে ফোটে, আবার আযান শেষ হলেই বন্ধ হয়ে যায়।
https://www.youtube.com/watch?v=hX8dUXrhvUg&feature=youtu.be
আযারবাইযানের এই ফুল নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। আযানের মতো সুর করে অন্য কোনো কিছু গাওয়া হলে ফুল ফুটছে না। যতবার-ই আযানের শব্দ ওখানে পৌঁছাচ্ছে ততোবার ফুল ফুটছে। বিজ্ঞানসম্মত সকল গবেষনার পর ফল একটা-ই পাওয়া গেছে, "Sorry, we can't explain this mystery, only God knows". অবশেষে CNN ও BBC এটাকে নিয়ে ডকুমেনটারী করতে বাধ্য হয়েছে                                                             [সংগ্রহীত ] 

হে দুঃখিনী বাংলাদেশ - তোমার কোন দালাল নেই !

ভারতে ঢুকে আসা বাংলাদেশিরা বিছানা, বালিশ গুছিয়ে তৈরি থাকুন ১৬ মের পর তাদের এদেশ থেকে তাড়ানো হবে ...... বিজেপি দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গ আসামে কোটি মানুষ বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করেছে বলে অভিযোগ করে আসছে বাংলাদেশিরা ভারতের অন্য প্রদেশের মানুষের রুজি, রোজগারে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে” - মোদি
এই দেশ থেকে ভারতীয়রা যেই পরিমান রেমিট্যান্স দেশে পাঠায় আর ভারত যেসব সুবিধা ভোগ করেতাঁর প্রাপ্য হিসেবে মোদির এই বক্তব্য , হা বন্ধুপ্রতীম দেশ !
হে দুঃখিনী বাংলাদেশতোমার মাটিতে চরে বেড়ানো কেউ পাকিস্তানের দালাল - কেউ ভারতের দালাল , তোমার কোন দালাল নেই , জোর গলায় প্রতিবাদের কেউ নেই , সীমান্তে একগুলির বদলে দুই গুলি চালানোর কেউ নেই , ট্রানজিটের বদলে টাকা চাওয়ার কেউ নেই , পানির নায্য দাবী আদায়ের কেউ নেই ...... উপরন্তু মোদির বক্তব্যের সপক্ষে একটা সমাবেশ দেখলেও আশ্চর্য হবোনা ......  
কিউঁ কি আব কি বারমোদি সারকার 

রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৪

এক ভেজাইলা ডেনিশ ছাত্রএর সোজাসাপটা উত্তর !!!!!!!!!!!!

পরীক্ষা চলসে।কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান পরীক্ষা। 
একটি ব্যারোমিটারের সাহায্যে কিভাবে একটি গগণচুম্বী বহুতল ভবনের উচ্চতা নির্ণয় করা যায় বর্ণনা কর।
সেই ডেনিশ ছাত্র,যার পরমানু মডেল আমাদের রসায়ন বই এ পড়ি। 
একজন ছাত্র উত্তর দিল-
আমাদেরকে ব্যারোমিটারের মাথায় একটা দড়ি বাধতে হবে। এরপর ব্যারোমিটারটিকে ভবনের ছাদ থেকে নীচে নামিয়ে মাটি পর্যন্ত নিতে হবে।তাহলে ব্যারোমিটারের দৈঘ্য আর দড়ির দৈঘ্য যোগ করলেই ভবনের উচ্চতা পাওয়াযাবে।
এরকম সোজাসাপটা উত্তর পরীক্ষককে এমন রাগিয়ে দিল যে তিনি ততক্ষণাত ছাত্রটিকে ফেল করিয়ে দিলেন। এরপর ছাত্রটি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে কাছে আবেদন করল যে তার উত্তরটি সম্পূর্ণ ঠিক ছিল, তখন বিশ্ববিদ্যালয় একজন নিরপেক্ষ বিচারক নিয়োগ করলেন ব্যাপারটা মীমাংসা করার জন্য
বিচারক দেখলেন, উত্তরটি সম্পূর্ণ ঠিক, কিন্তু পদার্থবিজ্ঞানের কোন উল্লেখযোগ্য জ্ঞান উত্তটির মাঝে অনুপস্থিত। তাই তিনি ব্যাপারটির মীমাংসা করার জন্য ঠিক করলেন, ছাত্রটিকে ডাকবেন এবং তাকে ছয় মিনিটসময় দিবেন। এই ছয় মিনিটের মধ্যে ছাত্রটিকে মৌখিকভাবে প্রশ্নটির এমন উত্তর দিতে হবে যার সাথে পদার্থবিজ্ঞানের মৌলিক নীতিগুলির নূন্যতম সম্পর্ক আছে
ছাত্র আসল। এসে চুপচাপ পাচ মিনিট ধরেকপাল কুচকে বসে বসে চিন্তা করতে লাগল। বিচারক তাকে সতর্ক করে দিলেন যে তার সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে। ছাত্রটি বলল, তার কাছে কয়েকটি যথাযোগ্য উত্তর আছে, কিন্তু সে ঠিক করতে পারছে না যে কোনটা সে বলবে। বিচারক তাকে তাড়াতাড়ি করতে বললে ছাত্রটি যে উত্তরগুলি দিলঃ
প্রথমত আপনি ব্যারোমিটারটা নিয়ে ছাদে উঠবেন, এরপর ছাদের সীমানা থেকে ব্যারোমিটারটা ছেড়ে দিবেন এবং হিসাব করবেন মাটিতে পড়তে ব্যারোমিটারটির কতটুকু সময় লাগল। এরপর h=(0.5)*g*(t)^2 সূত্রটির সাহায্যে আপনি ভবনের উচ্চতা মেপে ফেলতে পারবেন। কিন্তু ব্যারোমিটারটার দফারফা হয়ে যাবে।
অথবা যদি রোদ থাকে তাহলে ব্যারোমিটারটার দৈঘ্য মাপবেন। এরপর ব্যারোমিটারটাকে দাড়া করিয়ে এর ছায়ার দৈঘ্য মাপবেন। এরপর ভবনের ছায়ার দৈঘ্য মাপবেন। এবং এরপর অনুপাতের ধারণা ব্যাবহার করে কিছুটা হিসাব কষলেই ভবনের উচ্চতা পেয়ে যাবেন।
কিন্তু আপনি যদি ব্যাপারে বাড়াবাড়ি রকমের বিজ্ঞানমুখী হতে চান তাহলে আপনি ব্যারোমিটারের মাথায় ছোট একটা সুতা বেধে প্রথমে মাটিতে এরপরে ভবনের ছাদে পেন্ডুলামের মত দোলাবেন এবং এইক্ষেত্রে অভিকর্ষ বলের সংরক্ষণশীলতার কারনে T=2*π*sqrt(l/ g) সূত্র থেকে ভবনের উচ্চতা বের করতেপারবেন।
অথবা যদি ভবনটির কোন বহিঃস্থ জরুরী নির্গমন সিড়ি থাকে তাহলে আপনি সেখানে যেয়ে ব্যারোমিটারের দৈঘ্য অনুযায়ী ব্যারোমিটার দিয়ে মেপে মেপে ভবনের উচ্চতা বের করে ফেলতে পারেন।
আর আপনি যদি একান্তই প্রথাগত এবং বিরক্তিকর পথ অনুসরণ করতে চান তাহলে, প্রথমে ব্যারোমিটারটা দিয়ে ছাদের উপর বায়ুচাপ এবং এরপর মাটিতে বায়ুচাপ মাপবেন। এরপর বায়ুচাপের পার্থক্যকে মিলিবার থেকে ফিটে পরিনত করলেই ভবনের উচ্চতা পেয়ে যাবেন।
কিন্তু যেহেতু আমাদের সবসময় চিন্তাশক্তির ব্যাবহার এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি প্রয়োগের উপর জোর দেওয়া হয়, সেহেতু নিঃসন্দেহে সবচেয়ে ভাল পদ্ধতি হবে ভবনের রক্ষণাবেক্ষনের দায়িত্বপালনকারীর কাছে যাওয়া এবং তাকে বলা, “যদি আপনি নতুন একটি সুন্দর ব্যারোমিটার পেতে চান, তাহলে আমি আপনাকে এই ব্যারোমিটারটি দিব, কিন্তু সে জন্য আপনাকে বলতে হবে এই বহুতল ভবনটির উচ্চতা কত।

এই ছাত্রটি ছিল নীলস বোর, পদার্থবিজ্ঞানের নোবেল পুরষ্কারজয়ী প্রথম ডেনিশ বিজ্ঞানী