Download

শনিবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৫

আমি - হুমায়ুন আহমেদ

স্যার,আপনি প্রথম লেখা লেখি শুরু করেন কখন?
যখন ক্লাস ওয়ানে পড়ি তখন,অ,অা ' লেখা শুরু করি।
এই লেখার কথা বলসি না, স্যার! ক্রিয়েটিভ রাইটিং।
ক্রিয়েটিভ রাইটিং ক্লাস ওয়ানেই শুরু করি। 'ক' লিখতাম উল্টো করে।দেখতে অনেকটা ধ' য়ের মত,,একে নিশ্চয়ই তুমি ক্রিয়েটিভ রাইটিং বলবে!
চিত্রনায়ক মাহফুজের সাথে হুমায়ুন স্যার এর কথোপকথন।

বাংলাদেশ এর মেডিকেল কলেজের ইতিহাস :যেভাবে হল শুরু

বাংলাদেশ এর মেডিকেল কলেজের ইতিহাস :যেভাবে হল শুরু
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৭৫৭ সালে ভারতবর্ষ দখলের প্রায় একশ বছর পর ১৮৫৩ সালে কলকাতা মেডিকেল কলেজ" প্রতিষ্ঠিত হয়। কলকাতায় মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠারও একশ’ বছরে এ অঞ্চলে কোন মেডিকেল কলেজ স্থাপিত হয়নি। মাঝের এই লম্বা সময়ে কয়েকটি মাত্র মেডিকেল স্কুল তৈরি হয়। ১৯৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় মিটফোর্ড হাসপাতালের সাথে মিটফোর্ড মেডিকেল স্কুল (যা বর্তমানে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ), ১৯২০ সালে হয় চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, রাজশাহী ও সিলেট মেডিকেল স্কুল।এগুল সবগুলি এখন দেশের সেরা মেডিকেল কলেজ

যা বলছিলাম,,, পূর্ববঙ্গে মানে বাংলাদেশে একটি মেডিকেল কলেজ স্থাপনের উদ্যোগ নিতে নিতে চলে আসে ১৯৩৯ সাল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার বছরেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কাউন্সিল তদানীন্তন ব্রিটিশ গভর্নমেন্টর কাছে ঢাকায় একটি মেডিকেল কলেজ স্থাপনের দাবি করে।(ঢাকা university তখন পুর পূর বাংলার মানুশের কন্ঠসর সিল,যেমনি সিল ৭১ এ) কিন্তু 2nd world war এর ডামাডোলে হারিয়ে যাওয়ায়,, প্রস্তাবটি ১৯৪৫ সালে যুদ্ধ শেষে আবার আলোর মুখ দেখে। বৃটিশরা ঢাকা, করাচী ও চেন্নাইতে তিনটি মেডিকেল কলেজ স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়।ঢাকার তৎকালীন সিভিল সার্জন ডাঃ মেজর ডব্লিউ জে ভারজিন এবং এই অঞ্চলের বিশিষ্ট নাগরিকদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। তাদের প্রস্তাবনার উপর ভিত্তি করেই ১০ জুলাই ১৯৪৬ তারিখে ঢাকা মেডিকেল কলেজ চালু হয।
এভাবেই শুরু হয় দেশের প্রথম, উপমহাদেশর অন্নতম সেরা মেডিকেল কলেজের যাত্রা,,,,,,,,
স্কুলে যা শিখানো হয়,তার সব টুকু ভুলে যাবার পর যা থাকে,,
তাই হল শিক্ষা,,,,,,,,,
না না,, এইটা আমার বানী না, grin emoticon
কথাটা গুরু আইন্সটাইন এর,,!

কন্সেন্ট্রেশন ক্যাম্প :আমার খুব প্রিয় কবিতা গুলার এক্টা

কন্সেন্ট্রেশন ক্যাম্প :আমার খুব প্রিয় কবিতা গুলার এক্টা
তাঁর চোখ বাঁধা হলো।
বুটের প্রথম লাথি রক্তাক্ত করলো তার মুখ।
থ্যাতলানো ঠোঁটজোড়া লালা-রক্তে একাকার হলো,
জিভ নাড়তেই দুটো ভাঙা দাঁত ঝরে পড়লো কংক্রিটে।মাগো…চেঁচিয়েউঠলো সে।
পাঁচশো পঞ্চান্ন মার্কা আধ-খাওয়া একটা সিগারেট
প্রথমে স্পর্শ করলো তার বুক।
পোড়া মাংসের উৎকট গন্ধ ছড়িয়ে পড়লো ঘরের বাতাসে।
জ্বলন্ত সিগারেটের স্পর্শতার দেহে টসটসে আঙুরের মতো ফোস্কা তুলতে লাগলো।
দ্বিতীয় লাথিতে ধনুকের মতো বাঁকা হয়ে গেলো দেহ,
এবার সে চিৎকার করতে পারলো না।
তাকে চিৎ করা হলো।
পেটের ওপর উঠে এলো দু’জোড়া বুট,
কালো ও কর্কশ।
কারণ সে তার পাকস্থলির কষ্টের কথা বলেছিলো,
বলেছিলো অনাহার ও ক্ষুধার কথা।
সে তার দেহের বস্ত্রহীনতার কথা বলেছিলো।বুঝি সে-কারণেফরফর করে টেনে ছিঁড়ে নেয়া হলো তার শার্ট।প্যান্ট খোলা হলো।
সে এখন বিবস্ত্র, বীভৎস।
তার দুটো হাত-মুষ্টিবদ্ধ যে-হাত মিছিলে পতাকার মতো উড়েছে সক্রোধে,
যে-হাতে সে পোস্টার সেঁটেছে, বিলিয়েছে লিফলেট,
লোহার হাতুড়ি দিয়ে সেই হাত ভাঙা হলো।
সেই জীবন্ত হাত, জীবন্ত মানুষের হাত।
তার দশটি আঙুল-যে-আঙুলে ছুঁয়েছে সে মার মুখ, ভায়ের শরীর,প্রেয়সীর চিবুকের তিল।
যে-আঙুলে ছুঁয়েছে সে সাম্যমন্ত্রে দীক্ষিত সাথীর হাত,স্বপ্নবান হাতিয়ার,
বাটখারা দিয়ে সে-আঙুল পেষা হলো।
সেই জীবন্ত আঙুল, মানুষের জীবন্ত উপমা।
লোহার সাঁড়াশি দিয়ে,একটি একটি করে উপড়ে নেয়া হলো তার নির্দোষ নখগুলো।
কী চমৎকার লাল রক্তের রঙ।
সে এখন মৃত।
তার শরীর ঘিরে থোকা থোকা কৃষ্ণচূড়ার মতোছড়িয়ে রয়েছে রক্ত, তাজা লাল রক্ত।
তার থ্যাতলানো একখানা হাতপড়ে আছে এদেশের মানচিত্রের ওপর,
আর সে হাত থেকে ঝরে পড়ছে রক্তের দুর্বিনীত লাভা।

september 19/2015

আমাদের দেশে এক্টা বাহিনী আসে,,পুলিশ বাহিনী!! এদের আবার কিছু 'খুব চৌকোস' সদস্যবৃন্দ আছে
এরা পারেনা কিসু,,পারে খালি পাবলিকের সামনে হেডম দেখাইতে,,
পহেলা বৈশাখ এর আকাম কারিরা এদের কাছে 'দুষ্ট বাচ্চার দুষ্টামি ",,,,VaT বিরোধী আন্দলন এ লাঠি পেটা করা ওনাদের কর্তব্য,,,
ছিন্নমূল পথ শিশুদদের আশ্রয় দাতা,মজার ইস্কুল'এর উদক্তাদের শিশু পাচারকারী বানানো ওনাদের রিফ্রেশমেন্ট এর জন্নে এক্টা মজার খেলা,
(কত্ত বড় সাহস!! পথশিশুদের আশ্রয় দেয়! না না,,এটা বে আইনি,,,,রিমান্ডে নিয়ে ডিম থেরাপি দিলে মানব সেবার ভূত নামব মাথা থেকে,,,,)
আবার,,শুনলাম,,৪০ হাজার টেকা ঘুস নিতে ১১ মাসের বাচ্চাকে নাকি হাজতে দিসে,,ঝিনাইদহের কুন একজন
,,,মারহাবা মারহাবা!!
আর শেষেরটা দেখলাম এই মাত্র,,
এই কাছেই,,টাংগাইলে,,সন্তানের সামনে মাকে রেপ,,প্রতিবাদে মানববন্ধন,,, ফলাফল গুলি করে ৩ জন কে হত্যা।
কে করেছে,,
মহান পুলিস বাহিনীর কতিপয় বীর সদস্য ,,,
ভাইডি,,,বুঝসি,,,, তোমরা কুন কম্মের না,,,অপরাধী দের পিছে দৌড়াইতে যে শারিরিক শক্তি ক্ষয় করতে হয় তা আপনাদের নাইক্কা,না মানে আছে,, এই মানে,,ঘুস খাতি খাতি বডির জয়েন্টে জয়েন্টে ফ্যাট জমি গেসে,,,,
ঠিক আসে,,প্রবলেম নাই,,কিন্তু দোহাই খোদার,,হুদাই আমাদের নিরিহ পাবলিকের উপর নিজেদের নপুংসক মানসিকতা দেখাবেন না,,
এই সেদিন টুরিস্ট পুলিশ এর এক সদস্য শহীদ হলেন,,ছিনতাই কারি ধরতে গিয়ে,,,
আমাদের মহান স্বাধিনতা যুদ্ধের প্রথম প্রতিরোধ গড়ে সিল সেদিনের সাহসী পুলিস লাইনের সদস্যরা,,,,,3নট3,রাইফেল নিয়ে পাকি ট্যাংক এর সামনে,অসম এক যুদ্ধে,,,!
আপ্নারা কি জানেন ৭১ এর যুদ্ধের প্রথম গুলি কিন্তু এই পুলিশ'রাই চালায়,,
পাকি উল্লুকরা না!!
উত্তরসূরিদের আজকের এই কার্যকালাপ দেখলে তারা হয়ত আজ আর এক বার মরতে চাইবে।
জানি না,,সবই নষ্টদের অধিকারে চলে গেল নাকি!

reading ফাউন্টেনপেন - হুমায়ুন আহমেদ

reading ফাউন্টেনপেন - হুমায়ুন আহমেদ
এক্টু তুলে দিলাম:)
" আমার কাছে যারা নাম চাইতে আসে তারা খুব অায়োজন করেই তাদের দাবিগুলা তুলে unsure emoticon
যেমন- এক মা তার ছেলের নামের জন্যে এসেছে --
স্যার ! ছেলের নামের প্রথম অক্ষর হবে 'আ'। কারন,আমার নামের প্রথম অক্ষর 'আ' আতিয়া।
শেষ অক্ষর হবে 'ল'। কারন,ছেলের বাবার প্রথম অক্ষর হবে 'ল' লতিফ। নামের। অর্থ যদি নদী,আকাশ কিংবা মেঘ হয় তাহলে খুব ভাল হয়।
তার চেয়েও বড় কথা -- নামটা হতে হবে আনকমন।
আমি বললাম ছেলের নাম রাখো 'আড়িয়াল খঁা,,নদীর নামে নাম! আড়িয়াল খঁা নামে আমাদের একটা নদী আছে,যান নিশ্চয়ই

সুকান্ত ভট্টাচার্য,, ........মধ্যবিত্ত

সুকান্ত ভট্টাচার্য,,
মধ্যবিত্ত
পৃথিবীময় যে সংক্রামক রোগে,
আজকে সকলে ভুগছে একযোগে,
এখানে খানিক তারই পূর্বাভাস
পাচ্ছি, এখন বইছে পুব-বাতাস।
উপায় নেই যে সামলে ধরব হাল,
হিংস্র বাতাসে ছিঁড়ল আজকে পাল,
গোপনে আগুন বাড়ছে ধানক্ষেতে,
বিদেশী খবরে রেখেছি কান পেতে।
সভয়ে এদেশে কাটছে রাত্রিদিন,
লুব্ধ বাজারে রুগ্ন স্বপ্নহীন।
সহসা নেতারা রুদ্ধ- দেশ জুড়ে'
দেশপ্রেমিক' উদিত ভুঁই ফুঁড়ে।
প্রথমে তাদের অন্ধ বীর মদে
মেতেছি এবং ঠকেছি প্রতিপদে;
দেখেছি সুবিধা নেই এ কাজ করায়
একক চেষ্টা কেবলই ভুল ধরায়।
এদিকে দেশের পূর্ব প্রান্তরে
আবার বোমারু রক্ত পান করে,
ক্ষুব্ধ জনতা আসামে, চাটগাঁয়ে,
শাণিত-দ্বৈত-নগ্ন অন্যায়ে;
তাদের স্বার্থ আমার স্বার্থকে,
দেখছে চেতনা আজকে এক চোখে।।

অপারেশন খরচাখাতা কি?


পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় বিহারীদের অংশগ্রহণে ১৯৭১ সালের ১৩ জুন সংঘটিত একটি হত্যাযজ্ঞের অভিযানের নাম।
শুরুর দিকের কথা:
এক সময় সৈয়দপুর শহরে প্রচুর মাড়োয়ারি বসবাস করতেন। এরা ১৯৪৭ সালে দেশবিভাগের বহু আগেই ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে বাণিজ্যিক শহর সৈয়দপুরে এসে এই শহরে থেকে যান।( বানিজ্যিক শহর গুলতে এমনি হয়,,আপনি লন্ডনের রাস্তায় অনেক কস্টে একজন খাটি ইংলিশ পাবেন,অধিকাংশরাই দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় প্রজন্ম, যাদের রুট এশিয়া,আফ্রিকা,ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া)১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ রাত থেকে সৈয়দপুরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও সৈয়দপুরের বিহারিরা বাঙালি নিধন শুরু করে। মহল্লায়-মহল্লায় ঢুকে নেতৃস্থানীয়দেরনির্বিচারে হত্যা করা হয়। এ অবস্থায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছিলশহরের মাড়োয়ারিপট্টির বাসিন্দারা। ২৪ মার্চ থেকে সৈয়দপুর শহরের বাঙালি পরিবারগুলো পুরোপুরি অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।শহরের বিশিষ্টজনদের সঙ্গে স্থানীয় মাড়োয়ারি সম্প্রদায়ের শীর্ষব্যক্তিত্বতুলসীরাম আগরওয়ালা, যমুনাপ্রসাদ কেডিয়া, রামেশ্বর লাল আগরওয়ালাকে ১২ এপ্রিল রংপুর সেনানিবাসের অদূরে নিসবেতগঞ্জ বধ্যভূমিতে নিয়ে হত্যা করে পাকিস্তানি বাহিনী। মাড়োয়ারিপট্টিতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় বিহারিরা মাড়োয়ারিদের বাসায় বাসায় চালায় লুটতরাজ।
এবার আসল গন হত্যা:
১৯৭১-এর ৫ জুন পাকিস্তানি বাহিনী মাইকে ঘোষণা শুরু করে। ওই ঘোষণায় বলা হয়, যাঁরা হিন্দু মাড়োয়ারি তাঁদের নিরাপদ স্থান ভারতে পৌঁছে দেওয়া হবে। একটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওই ট্রেনটি ১৩ জুন সকালে সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে চিলাহাটি সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের জলপাইগুড়িতে পৌঁছাবে। এ ঘোষণায়মাড়োয়ারিপট্টিতে স্বস্তি নেমে আসে। ১৩ জুন রেলওয়ে স্টেশনে ঠিকই আসে বিশেষ ট্রেনটি। সৈয়দপুর রেল-কারখানা থেকে ট্রেনটি সকাল আটটায় স্টেশনের প্লাটফর্মে এসে দাঁড়ায়। গাদাগাদি করে বসতে থাকেন বৃদ্ধ-যুবক, তরুণ-শিশু, নারীরা। ওই ট্রেন থেকে কমপক্ষে ২০ জন তরুণীকে নামিয়ে নেয় পাকিস্তানি বাহিনী। তাঁদের মিলিটারি জিপে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্টে।১৩ জুন সকাল ১০টায় ট্রেনটি ছাড়ে। প্রত্যক্ষদর্শী তপন কুমার দাস কাল্ঠু ও বিনোদআগরওয়ালার বর্ণনায় জানা যায়, ট্রেন ছাড়ার পর সব জানালা-দরজা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছিলো। ট্রেনট ধীরগতিতে দুই মাইলের মতো পথ অতিক্রম করার পর শহরের গোলাহাটের কাছে এসে থেমে যায়। এরপর কম্পার্টমেন্টেরদরজা খুলে ভেতরে রামদা হাতে কয়েকজন বিহারি প্রবেশ করে। একইভাবে প্রতিটি কম্পার্টমেন্টে উঠে পড়ে রামদা হাতে বিহারিরা। বাহিরে ভারি আগ্নেয়াস্ত্র হাতে পাকিস্তানি বাহিনী গোটা এলাকা ঘিরে রাখে, যাতে কেউ পালাতে না পারে। বিহারিরা প্রধানত রামদা দিয়ে কুপিয়েই হত্যাযজ্ঞ করে।
এটাই ছিল অপারেশন খরচাখাতা।অপারেশন খরচাখাতায় ৪৩৭ জন নিরীহ হিন্দু মাড়োয়ারিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ওই হত্যাযজ্ঞ থেকে কোনোরকমে সেদিন বেঁচে যায় প্রায় ১০ জন। তাঁরা ট্রেন থেকে নেমে দৌড়ে দিনাজপুর হয়ে ভারতে পালিয়ে যায়।
আফসুস এক্টাই, এখন পর্যন্ত কোন স্মৃতিসৌধ তৈরি হয়নি এখানে।
(লিখতে গিয়ে Wikipedia এর সহায়তা নিয়েছি)

শুক্রবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৫

রনি তালুকদার _ barisal bulls

রনি তালুকদার (জন্ম: ২৯ মে, ১৯৮৯) নারায়ণগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণকারী বাংলাদেশের একজন উদীয়মান ক্রিকেটার, ঢাকা বিভাগে খেলে থাকেন।
ব্যাটিংয়ের ধরণ ডানহাতি
বোলিংয়ের ধরণ ডানহাতি স্লো মিডিয়াম
ঘরোয়া ক্রিকেটে সাম্প্রতিককালে যে কজন নিয়মিত পারফরম করে যাচ্ছিলেন রনি তাদের একজন। তিনি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০০৮ এ বাংলাদেশ দলের স্কোয়াডে ছিলেন। এছাড়া তিন প্রিমিয়ার লিগে প্রাইম দোলেশ্বরের হয়ে নিয়মিতই পারফরম করেছেন তিনি। দুটো অপরাজিত সেঞ্চুরি নিয়ে প্রিমিয়ার লীগে তাঁর মোট রান ছিল ৭১৪। জাতীয় ক্রিকেট লিগে করেছিলেন 2টি ডাবল সেঞ্চুরি (২২৭) & (201) আর একটি বড় শতক (১৬৩)।৩ ইনিংসেই টানা ৩ শতক…যার মাঝে দুটো মনমাতানো ডাবল সেঞ্চুরী…ভাবাই যায়না…তিন শতক আসে এভাবে ২২৭(বরিশালের বিরুদ্ধে)+১৬৩(ঢাকা মেট্রোর বিরুদ্ধে)+২০১ রান(চট্রগ্রামের বিরুদ্ধে)…এক কথায় অসাধারন ব্যাটিং…
                              ২০১৫ সালের পাকিস্তানের সাথে একদিনের ক্রিকেট তাকে আবার দলে নেওয়া হয় 

শাহরিয়ার নাফিস,,,

শাহরিয়ার নাফিস,,,


বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। জাতীয় দলের হয়ে তার অভিষেক হয় ২০০৫ এর ইংল্যান্ড ট্যুরে। ২০০৬ এর এপ্রিলে ফতুল্লা স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিনি প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির দেখা পান। একই বছর অগাস্টে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে তিনি প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরির সাক্ষাৎ পান। অক্টোবরে ভারতে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তিনি দলের সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব পান। এ টুর্নামেন্টেই জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে তিনি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটি করেন। নবেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে আবারও শতক হাঁকান তিনি। ২০০৮ এর জুনে তিনি ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লী্গে (আইসিএল) খেলতে ভারত যান। কর্ত্‌পক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে যাওয়ায় বোর্ড তাকে দশ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। সেপ্টেম্বর মাসেই তিনি আইসিএল-এর সাথে সম্পর্কছিন্ন করেন। ফলশ্রুতিতে ২০১০ এর অক্টোবরে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজে তিনি আবারও দলে জায়গা পান। দু'ম্যাচে তিনি যথাক্রমে ৩৫ ও ৭৩ রান করেন। দুটোতেই বাংলাদেশ দল জয় পায়। ইনজুরি কাটিয়ে তামিম দলে ফেরায় জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে সিরিজে নাফিসকে আবারও সাইডবেঞ্চে বসে থাকতে হয়. frown emoticon
নাফিস ঢাকার বিখ্যাত সেন্ট যোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০০১ এ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অবতীর্ণ হন। smile emoticon amar college wink emoticon
নাফিস ও আশরাফুল খুবই ভালো বন্ধু। দুজনেই ওয়াহিদুল গণির শিষ্য ছিলেন।
নাফিস, সাবেক বাংলাদেশি ক্রিকেটার ও নির্বাচকমন্ডলীর অন্যতম সদস্য ফারুক আহমেদের ভাতিজা হন

বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৫

তাস চিনেন তাস,,

তাস চিনেন তাস,,

আজকে এই তাস নিয়ে কতক্ষন আড্ডাদিব,
প্রথম দিকে কয়টা তাস ছিল জানেন?
৭৮ টা,খেলার সুবিধার জন্নে পরে কমানো হয়েছে wink emoticon
কিন্তু জোকার আছে সেই জন্ম থেকে smile emoticon
পঞ্চাদশ শতকের বিভিন্ন শ্রেনি পেশার বিক্ষাত সব মানুশের প্রতিনিধি, এক এক্টি কারড,

ডায়মন্ড : ধনী শ্রেনির প্রতিক
স্পেডস: সৈনিক,স্পাডা' স্পেনিস শব্দ,অর্থ, তরবারি।
হার্টস:পাদ্রী, আগে কিন্ত এটা দেখতে পান পাত্রের মত ছিল,পরে হারট শেপ পায়।
ক্লাবস: সমাজের গরীব মানুশদের প্রতিক।ক্লাব মানে মাগুর,গরিবের মাগুর ই সম্বল।

এবার তাসের গায়ের ছবি

কিং অভ ডায়মন্ডস হলেন জুলিয়াস, নট জুলিয়াস এসেঞ্জ' ইটস 'জুলিয়াস সিজার' wink emoticon
কিং অভ স্পেডস হল ডেভিড,, ইয়েহ,,ডেভিড বেকহাম না,,ডেভিড,যে গেলিয়াথকে হত্যা করেছিল।
কিং অভ হারটস, ইনি রাজা শার্লেমেন,অর্ধ ইউরোপ বিজয়ী! ৮০০ খ্রৃ:
কিং অভ ক্লাবস,, ইয়েস বাডি,, ইনিই 'দা ওয়ান এন্ড ওনলি আলেকজান্ডার দি গ্রেট।৩২৩ খ্রৃ: পৃথিবীর মানচিত্র প্রায় পুরটাই ছিল যার তরবারির নিচে,,আলেকজেন্দ্রিয়া শহরটা কিন্তু ওনার নামেই।আগের তাসে,তার হাতে পুরো পৃথিবী ওনার হাতে থাকত, এখন তার আলখাল্লায় ভূ-গোলকটি আকা হয়।
কুইন অভ ক্লাবস, একমাত্র ইংলিশ নারী,, রানি এলিজাবেথ ফাস্ট।
এবার এক্টা মজার ইনফো দেই,,,,প্রথম ছাপা বস্তু হল তাস।তাস খেলা ছিল জোহান্স গুটেনবার্গ এর অন্নতম নেশা। আগে হাতে একে তাস বানাত,ইনি প্রথম কাঠের ফালিতে রং লাগিয়ে, ছাপ দিয়ে তাস বানান।জন্ম হয় প্রেস এর ধারনা।
এ বেচারার ব্যাবসা বুদ্ধি কম ছিল, মুদ্রন শিল্পের জনক তাই,শেষ জিবনে ছিলেন অনাহারে,.......

29th October, some one birthday........

আমার পিচ্চি কালের হিরো ছিল ইনি,বাংলা বইয়ে, কালা সান গ্লাস পড়া ওনার এক্টা পিক ছিল,সেই স্মার্ট লাগত,,
ওনার লেভেল অফ স্মার্টনেস ' বুঝসি আরেক্টু বড় হয়ে...........
দেশপ্রেম জিনিস টা ওনার কাছ থেকে শেখা যায়।
আপ্নি পারবেন বউ -বাচ্চাদের এক্টা শত্রু রাস্ট্রের সেনানিবাস এর ভিতর ফেলে রেখে, সেই দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যেতে,,এমনকি তাদের সামনে দিয়ে তাদের প্লেন হাইজেক করতে,,
চুড়ান্ত রকম দেশ পাগলা ছাওয়ালদের দিয়েই এইটা সম্ভব,,কারন মা পাগলা পোলাপান,, মায়ের ডাকে সারা না দিয়ে পাড়ে smile emoticon
সেদিন, এইসব মুক্তিযুদ্ধোরা নিজেদের ব্যক্তিগত লাভ ক্ষতির চিন্তা করে নাই,,
তাই আইজক্কা আপনি,, টং য়ে চা খাতি খাতি,,
রাজাকারদের বিচারিক প্রক্রিয়াদির দোষ-ত্রুটি ধরতি পারেন,,৩০ লক্ষ না ৩ লাখ, সেই হিসাব করতি পারেন। wink emoticon
বেপারটা অনেক 'খুল'
তাই না
wink emoticon

রঙ্গে_ভরা_বঙ্গ_দেশ‬ ২

ইয়ে,, আজকে শরতচন্দ্র
অবিভক্ত বাংলায় দুজন শরতচন্দ্র ছিলেন,
একজন অমর কথাশিল্পী শরতচন্দ্র
অন্নজন কৌতুক পত্রিকা, " বিদুষক" এর সম্পাদক, দাদা ঠাকুর শরতচন্দ্র।
আমাদের শরতচন্দ্রের, 'চরিত্রহীন ' সবে প্রকাশিত হয়েছে।
তো একদিন এক সাহিত্য আসরে দুজনের দেখা।
তো আমাদের শরতচন্দ্র,, মজা করে বল্লেন,
" ও' আপনিই তা হলে বিদুষক শরতচন্দ্র "
উত্তরে দাদা ঠাকুর শরতচন্দ্র বল্লেন,
" অাজ্ঞে, হ্যাঁ,,,, এ অধীন বিদুষক শরতচন্দ্রআর আপনি নিশ্চয়ই ' চরিত্রহীন শরতচন্দ্র? '

‪#‎রঙ্গে_ভরা_বঙ্গ_দেশ‬ ১

‪#‎রঙ্গে_ভরা_বঙ্গ_দেশ‬ ১

রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর এর বিয়ে হবে।
রবিন্দ্রনাথ,তার বন্ধুদের এক্টা চিঠি লিখেছেন ,নিজ হাতে।
"আমার পরমাত্মীয় শ্রীমান রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের শুভ বিবাহ হইবেক।
আপনি' ৬নং জোড়াসাঁকোস্থ দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাসভবনে উপস্থিত থাকিয়া বিবাহাদি সন্দর্শন করিয়া আমাকে এবং আত্মীয়বর্গকে বাধিত করিবেন।
ইতি - রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর
---------
এক সভায় রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর হঠাত বলে উঠলেন,
"এই ঘরে একটা বাঁদর আছে"
সভায় সবাই চমকে উঠলেন।
কাকে বলা হল বাঁদর, এ ওর মুখের দিকে চায়।
রবিন্দ্রনাথ হেসে বল্লেন," এই ঘরে বাঁ দিকে এক্টা দোর (দরজা) আছে। অর্থাৎ বাঁদোর।"

বুধবার, ৩ জুন, ২০১৫

বার্সেলোনা এবং একজন গাম্পার



১৮৯৯ সালের ২২ অক্টোবর, জোয়ান গাম্পার ‘‘লস দেপোর্তেস’’ পত্রিকায় একটি বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে ফুটবল ক্লাব প্রতিষ্ঠা করতে তার আগ্রহ প্রকাশ করেন। ২৯ নভেম্বর, জিমনাসিও সোলে একটি সম্মেলনে তিনি ইতিবাচক সাড়া পান। সম্মেলনে এগারো জন খেলোয়াড় উপস্থিত ছিলেন। তারা হলেন: গুয়ালতেরি ওয়াইল্ড, লুইস ডি'ওসো, বার্তোমেউ তেরাদাস, অটো কুঞ্জলে, অটো মায়ের, এনরিক ডুক্যাল, পেরে ক্যাবত, জোসেপ লোবেত, জন পার্সনস এবং উইলিয়াম পার্সনস। এভাবে জন্ম নেয় ফুট-বল ক্লাব বার্সেলোনা (Foot-Ball Club Barcelona)।
ফুট-বল ক্লাব বার্সেলোনার প্রতিষ্ঠাতা জোয়ান গাম্পার।
আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্যায়ে সফলভাবেই শুরু করে বার্সেলোনা। ১৯০২ সালে তারা ‘‘কোপা মাকায়া’’ শিরোপা জিতে, যা ছিল তাদের প্রথম শিরোপা। ঐ বছর তারা কোপা দেল রে প্রতিযোগিতায়ও অংশগ্রহন করে এবং ফাইনালে ক্লাব ভিজকায়ার (অ্যাথলেতিক বিলবাও) বিপক্ষে ১–২ ব্যবধানে পরাজিত হয়।
১৯০৮ সালে, জোয়ান গাম্পারকে ক্লাবের প্রেসিডেন্ট করা হয়। অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে ১৯০৫ সালের পর থেকে আর কোন শিরোপা জিততে পারছিলনা বার্সেলোনা। গাম্পার মোট ২৫ বছর ক্লাবের পরিচালক হিসেবে ছিলেন। তার সময়ের সবচেয়ে বড় অর্জনগুলোর মধ্যে ছিল বার্সেলোনার নিজস্ব স্টেডিয়াম। এতে করে, বার্সেলোনা একটি প্রতিষ্ঠিত আয়ের উত্‍স পেয়ে যায়।
১৯০৯ সালের ১৪ মার্চ, বার্সেলোনা ‘‘কাম্প দে লা ইন্দাস্ত্রিয়া’’ স্টেডিয়ামে চলে আসে, যার ধারন ক্ষমতা ছিল ৮,০০০। ১৯১০ থেকে ১৯১৪ সাল পর্যন্ত বার্সেলোনা পাইরেনিস কাপে অংশগ্রহণ করে। ঐ প্রতিযোগিতায় সে সময়ের সেরা দলগুলো অংশগ্রহন করত। গাম্পার যুগে বার্সেলোনা ১১টি কাতালান কাপ, ৬টি কোপা দেল রে এবং ৪টি পাইরেনিস কাপ শিরোপা জিতে।
গাম্পার অর্থনইতিক কারনে আত্মহত্যা করেসিল।

তাবলিগ জামাত

তাবলিগ জামাত একটি ইসলাম ধর্মভিত্তিক কাজ (কোন সংগঠন নয়)(তাবলীগ জামাতের ওলামাদের মতে) যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে মানুষকে আল্লাহর পথে ডাকা। সাধারণত মানুষকে আখিরাত, ঈমান, আমল-এর কথা বলে তিনদিনের জন্য উদ্বুদ্ধ করা হয়। এর পর যথাক্রমে সাতদিন ও চল্লিশদিন-এর জন্য আল্লাহর রাস্তায় দাওয়াত-এর কাজে উদ্বুদ্ধ করা হয়ে থাকে। তাবলিগ জামাত-এর মূলনীতি গুলো হলো: কালিমা, নামায, ঈল্‌ম ও যিকির, একরামুল মুসলিমিন বা মুসলমানদের সহায়তা করা, সহিহ নিয়ত বা বিশুদ্ধ মনোবাঞ্ছা, এবং তাবলিগ বা ইসলামের দাওয়াত। যেহেতু মুহাম্মদ(সাঃ) আল্লাহর শেষ বাণীবাহক, তাঁর পরে আর কোনো নবী বা রাসূল আসবেন না, তাই মুহাম্মদ(সাঃ) বিদায় হজ্জ্বের ভাষণে মুসলমানদেরকে ইসলামের দাওয়াত দেয়ার দায়িত্বটি দিয়ে যান। তবে এবিষয়ে মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থ কুরআনেও উল্লেখ আছে:
“ তোমরাই শ্রেষ্ঠ উম্মত, মানুষের(কল্যাণের) জন্য তোমাদেরকে বের করা হয়েছে। তোমরা মানুষকে সৎ কাজের আদেশ করবে এবং অসৎকাজ থেকে নিষেধ করবে।" (সূরা আল-ইমরান, আয়াত-১১০)”
“ তার চেয়ে ভাল কথা আর কি হতে পারে, যে মানুযকে আল্লাহর দিকে ডাকে, নিজে নেক আমল করে আর বলে যে, আমি সাধারণ মুসলমানদের মধ্য হতে একজন। (সূরা হা মীম সিজদা আয়াত-৩৩) ”
ইসলামের প্রাথমিক যুগে মুহাম্মদ(সাঃ)এর মৃত্যুর পর তাঁর আদর্শস্নাত সাহাবী, তাবেয়ী ও তাবে-তাবেয়ীগণের মাধ্যমে ইসলামী জীবন বিধান প্রচার ও প্রসারের কার্যক্রম আরো বিস্তৃতি লাভ করে। কিন্তু মুসলিম শাসকদের ক্ষমতা বিলপ্তির পর ইসলামী প্রচার কার্যক্রমে ভাটা পড়তে থাকে। এমনই পরিস্থিতিতে মাওলানা মুহাম্মাদ ইলিয়াস ভারতের দিল্লীতে তাবলিগ জামাতের সূচনা করেন এবং তাঁর নিরলস প্রচেষ্টার ফলে তাবলিগ জামাত একটি বহুল প্রচারিত আন্দোলনে রূপ নেয়। সারা বিশ্বে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দেওয়া তাবলিগ জামাতের উদ্দেশ্য।

CR7, এক টি নখত্রের গল্প(১)


পর্তুগালের মাদেইরাতে জন্ম নেন তিনি। তার পিতা জোসে দিনিস আভেইরো ও মা মারিয়া ডোলোরেস দস সান্তোস আভেইরো। বড় ভাই হুগো এবং বড় দুই বোন এলমা ও কাতিয়ার সাথে তিনি বেড়ে উঠেছেন। কাতিয়া পর্তুগালের একজন গায়িকা।
CR মঞ্চে "পেনাল্ডো" নামে গান করতেন।
পেনাল্ডো নামটি পর্তুগালে সচরাচর দেখা যায় না। তাই বাবা-মা আমেরিকান রাষ্ট্রপতি রোনাল্ড রেগানের সাথে মিলিয়ে ronaldo নাম রাখেন।
তিন বছর বয়স থেকে রোনালদো ফুটবলের সাথে । তিনি ছয় বছর বয়স থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিমে খেলা শুরু করেন। কৈশোরে তার প্রিয় দল ছিল "বেনফিকা" যদিও তিনি তাদের প্রতিপক্ষ "স্পোর্টিং ক্লাবে দি পর্তুগালে" যোগদান করেন। মাত্র আট বছর বয়সে প্রথমে "আন্দোরিনহা" নামে একটি অপেশাদার দলে তার ক্রীড়াজীবন শুরু করেন, যেখানে তার বাবা কাজ করতেন। ১৯৯৫ সালে, দশ বছর বয়সের মধ্যেই পর্তুগালে তার সুনাম ছড়াতে থাকে। মাদিয়েরার শীর্ষ দুটি দল "সিএস মারিতিমো" ও "সিডি ন্যাশিওনাল" তাকে পেতে উম্মুখ ছিল। অপেক্ষাকৃত বড় দল মারিতিমো আন্দোরিনহার ব্যবস্থাপকের সাথে একটি মিটিং-এ অংশ নিতে পারেননি। ফলে সিডি ন্যাশিওনাল রোনালদোকে হস্তগত করে। ন্যাশিওনালের হয়ে সে মৌসুমে শিরোপা জেতার পর স্পোর্টিং দলের সাথে তিনি চুক্তিবদ্ধ হন।

বুধবার, ১৫ এপ্রিল, ২০১৫

ANDROID মজা :: অ্যান্ড্রয়েড ফোন দিয়ে কম্পিউটার এ ইন্টারনেট চালান (সফটওয়ার ছাড়া)

 সবাই আমরা কম্পিউটার এ ইন্টারনেট ব্যাবহার করি, কেউ ব্লুটুথ দিয়ে কেউ আবার মডেম দিয়ে, আজ আমি আপনাদের দেখাবে কিভাবে ব্লুটুথ/মডেম ছাড়া অ্যান্ড্রয়েড ফোন দিয়ে কম্পিউটারে ইন্টারনেট চালানো যায় তার নিয়ম, তাহলে আসুন নিয়ম টা শিখে নিই।


প্রথমে কেবল দিয়ে অ্যান্ড্রয়েড ফোন কে কম্পিউটার এর সাথে ডাটা ক্যাবলের মাধ্যমে সংযুক্ত করে নিন। তারপর নিচের নিয়মগুলো ভাল করে অনুসরণ করি।
১।
প্রথমে Media Device (MTP) এখানে টিক চিহ্ন দিন।
২।
তারপর Settings>>Developer options> USB Debugging এর ফাকা বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে সিলেক্ট করুন।
৩।
এবার Settings>Wireless & Networks>Tethering & portable hotspot গিয়ে USB tethering টিক চিহ্ন দিয়ে দিন উপরের মত করে।
ব্যাস হয়ে গেল কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগ, এবার ইচ্ছামত ইন্টারনেট ব্যবহার করুন কম্পিউটারে। আর হ্যাঁ একটি কথা আপনার সিমে কিন্তু মেগাবাইট থাকতে হবে না হলে কিন্তু হবে না।
সূত্র : ইন্টারনেট 

রবিবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৫

ধিক্কার

ধিক্কার

শোন রাজাকারদের গান
এ গান শুনে রৌদ্রজ্জ্বল সূর্য হবে ম্লান ।
তুই রাজাকার, তুই নষ্ট
তুই বাংলা মায়ের
বুকে জমে থাকা কালিমাযুক্ত কষ্ট
তুই আগাগোড়াটাই নষ্ট।
তুই হতাশা, তুই পাপ
তুই শত শত যুবা
তরুণ বখাটে
জারজ ছেলের বাপ।
তুই লাখো শহীদের মরণের স্মৃতি,
বুকফাটা অভিশাপ
তুই নরক জ্বালানো পাপ ।
তুই হাসতে হাসতে চালাস ছুড়ি
বুদ্ধিজীবীর শিরে
তুই নাচতে নাচতে জ্বালাস আগুন
বাংলার বাড়ি ঘরে ।
তুই পিশাচ, তুই নরাধম
তুই করিস জননী জন্মভূমিতে
খানসেনাদের সমাগম
তুই বিষ্ঠাতুল্য নরাধম ।
তুই হায়েনার চেয়ে নিষ্ঠুর,
তুই শিয়ালের চেয়ে ধূর্ত
তুই পাকিস্তানের পতাকা জড়ানো
ইবলিশ বিমূর্ত ।
তুই হাহাকার, তুই গ্লানি
তুই অকাতরে করিস আপন
জননীর মানহানি ,
তুই আপন মায়ের গ্লানি।
তুই পচে মর ওই মৃত্যু কূপের
অন্তহীন তলায়,
তুই পরিণত হ জীবিত
পচা মাংসের দলায়।
তুই অচ্ছুৎ, অভিশপ্ত
তুই নরকের মাঝে বাস করিবার
অভ্যাস কর রপ্ত ।
তুই নরক চিতার অধিবাসী
তুই না পেলি ঘৃণ্য উর্দু মুলুক,
না হলি বাংলাদেশী
মুনাফিক তুই আজীবন র'লি
শুধুই বাঙালী বেশী ....

মঙ্গলবার, ২৪ মার্চ, ২০১৫

"ফটিক যখন মেডিকেলের ছাত্র..." ছুটি (Medical Version)

from :https://www.facebook.com/si.shovon.5?fref=nf
…………ফটিককে মামা জিজ্ঞাসা করিল,
'কি রে মেডিকেল এ পড়বি?' ফটিক লাফ
দিয়ে উঠিয়া বলিল,'পড়ব।' মেডিকেল এ
পড়িবার নিমিত্তে ফটিক নাক-মুখ
কষিয়া পড়িতে লাগিল এবং মেডিকেল এ
চান্স
পাইয়া গেল। নাচিতে নাচিতে ফটিক
মেডিকেল
পড়িতে চলিল।
ছোটভাই মাখন হিংসায়
জ্বলিয়া পুড়িয়া বলিল,'মেডিকেল,এ আর
এমন
কি? ভারী তো একটা বিষয়। আমি এর
থেকেও
ভালো কিছুতে পড়িব।' মাখনের মাতা
ছেলের
এহেন ইচ্ছা শুনিয়া তাহার
গল্লপ্রদেশে কষিয়া চুম্বন
দিয়া বলিল,'মাখন,আমারখাসা ছেলে।'
মাখনের
মাতার মনে শঙ্কা ছিল কোনদিন ফটিক
মাখনকে জলেই ফেলিয়া দেয় কি মাথাই
ফাটায়।
জগতে মেডিকেল পড়ুয়া ছাত্রদের মত
বালাই
আর নাই। ভার্সিটি নামক প্রতিষ্ঠানের
অধীনে মেডিকেলে পড়িলেও স্যারদের
অতিরিক্ত নিয়ম-কানুনের
কারনে তাহারা না বোর্ডিং স্কুলের
ছাত্র,
না ভার্সিটির। টার্ম ভাইভার টেবিলে
তাহাদের
মুখে আধো আধো উত্তর ন্যাকামি,
বেশি পারাও জ্যাঠামি। ফটিক
মনে মনে বুঝিতে পারে মেডিকেলে ঠিক
যেন
সে খাপ খাওয়াইতে পারিতেছে না।
তাহার
মুক্ত হৃদয় মেডিকেল এর আইটেম,কার্ড,টার
্ম,প্রফ এর খাচায় বদ্ধ হইয়া ছটফট
করিতে লাগিল। টার্ম ভাইভাতে প্রশ্নের
উত্তর না পারিয়া মাথা নীচু করিয়া
থাকিত।
ইহার মধ্যে ফটিক সাপ্লি খাইয়া বসিল।
একে তো পড়া করিতে পারে না তাহার
উপর
সাপ্লি খাইয়া সে একদম নাচার হইয়া
পড়িল।
ভয়ে ভয়ে স্যারের
কাছে গিয়া বলিল,'সাপ্লি খাইয়াছি।'
স্যার
অধরের দুই প্রান্তে বিরক্তি রেখা অঙ্কণ
করিয়া বলিল,'বেশ করিয়াছ। তোমার
জন্যে মাসের মধ্যে পাঁচবার শর্ট টার্ম
পরীক্ষা তো আর নিতে পারি নে।'
ফটিক ক্যালেন্ডারের
পাতা দেখিয়া বাড়ি যাইবার দিন
গুনিতে লাগিল।
ছুটির দিন আগাইয়া আসিতে লাগিল।
ফটিকের
রুদ্ধ প্রাণে ছুটির হাওয়া লাগিতে লাগিল।
আনন্দের আতিসয্যেই হোক কিংবা টিকিট
না পাওয়ার চিন্তায় হোক ফটিক ছুটির
কয়েকদিন আগের তারিখে বাসের টিকিট
কাটিয়া ফেলিল। পরের দিন
ক্লাসে গিয়া শুনিতে পারিল
সে যে দিবসে বাসের টিকিট
কাটিয়াছে সে দিবসেই স্যার টার্ম
সাপ্লির
তারিখ দিয়াছে। শুধু তাহাই নয় ভাইভার
তারিখও বাধিয়া দিয়াছেন। ফটিকের
এতদিনের আশা এক নিমেশেই
গুড়িয়া যাইতে লাগিল।
তাহার মাথার Blood Vessels
ছিড়িয়া যাইতে লাগিল। ... বুকের ভিতর
Stress
বাড়িয়া যাইতে থাকিল। অবশেষে ব্লাড
প্রেসার কমিয়া গিয়া ফটিক শকে(Shock)
চলিয়া গেল। সে সহসাই মাটিতে পড়িয়া
গেল।
বন্ধুরা ধরাধরি করিয়া তাহাকে
মেডিকেলের
ইমারজেন্সিতে লইয়া গেল।
পরেরদিন দিনের বেলায় কিছুক্ষনের জন্য
সচেতন হইয়া ফটিক কাহার প্রত্যাশায়
ফ্যালফ্যাল করিয়া চারিদিকে চাহিল।
ব্যাচের
এক বন্ধু নিজের সাপ্লি এর
পড়া করিতে ব্যস্ত রইয়াছে।
ফটিককে সে দেখিতে পারে নাই। তাহার
পরদিন
কাটিয়া গেল। ফটিক ভাল ছাত্রদের মত
করিয়া বলিতে লাগিল, “ আমাকে পাশ
করিতেই
হইবে।আমাকে ডাক্তার হইতেই হইবে।...........
"And I have promises to keep.And
miles to go before I sleep.And miles
to go before I Sleep.”
সাপ্লি খাইয়াছিল বলিয়া ফটিক এসব
মনে মনে ভাবিয়াছিল। এখন জ্বরের
ঘোরে পড়িয়া ফটিক তাহাই প্রলাপ
বকিতে থাকিল কিন্তু যাঁহারা এই এই
মেডিকেলে পড়াইয়া থাকেন
তাহারা নিজেরা ছাত্রদের mental well
being লইয়া গুরুত্ব দেন কিনা মেডিকেল
হাস্পাতালের বেডে শুইয়া ফটিক তাহার
কূল-
কিনারা করিতে পারিতেছে না।
এমন সময় ফটিকের
মাতা ঝড়ো বেগে ঘরমধ্যে প্রবেশ করিলেন।
ফটিকের মস্তকের পাশে বসিয়া ডাকিলেন,
'ফটিক,বাপধন আমার।' ফটিক
কাহাকে লক্ষ্য না করিয়া মৃদুস্বরে
কহিল,'মা!
এখন আমার ছুটি হয়েছে মা,এখন
আমি বাড়ি যাচ্ছি,মা।
_________________________
'ছুটি' গল্প অবলম্বনে এবং ফটিকের
ইঞ্জিনিয়ারিং ভার্সন অনুকরণে।